লিভারের ক্ষতি হয় যে ১০ অভ্যাসে

human liver

লিভার শরীরের গুরুত্বপূর্ণ একটি অঙ্গ। এটি শরীর ডিটক্সিফাই করে। ঠিক মতো যত্ন না নিলে লিভারের ক্ষতি হয়। এমন কিছু অভ্যাস আছে যা লিভারের ক্ষতি করতে পারে। যেমন-

অত্যাধিক অ্যালকোহল সেবন: অতিরিক্ত অ্যালকোহল সেবনে লিভারের নানাবিধ রোগ হয়, যা ফ্যাটি লিভার থেকে লিভার সিরোসিস পর্যন্ত হতে পারে। লিভার সুস্থ রাখতে চাইলে অ্যালকোহল গ্রহণ সীমিত করুন।

দুর্বল খাদ্যাভ্যাস: অস্বাস্থ্যকর চর্বি, চিনি এবং প্রক্রিয়াজাত খাবার খেলে ফ্যাটি লিভারের ঝুঁকি বাড়ে। লিভারের স্বাস্থ্য ভালো রাখেতে খাদ্যতালিকায় সবুজ শাকসবজি, ফল, গোটা শস্য, বাদাম এবং বীজ রাখুন।

স্থূলতা: অতিরিক্ত ওজন নন-অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভার ডিজিজের ঝুঁকি বাড়াতে পারে। লিভার সুস্থ রাখতে স্বাস্থ্যকর খান, নিয়মিত ব্যায়াম করুন এবং ওজন কমানোর জন্য একটি সক্রিয় জীবনধারা অনুসরণ করুন৷

ভাইরাল হেপাটাইটিস: হেপাটাইটিস বি এবং সি এর মতো সংক্রমণ যদি চিকিৎসা না করা হয় তবে দীর্ঘমেয়াদী লিভারের ক্ষতি হতে পারে৷

ওষুধ ও সাপ্লিমেন্ট গ্রহণ : চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কোনো কোনো ওষুধ বা অতিরিক্ত পরিমাণে সাপ্লিমেন্ট গ্রহণ করলে লিভারের ক্ষতি হতে পারে। ধূমপান: আপনি যদি চেইন স্মোকার হন তবে শুধু আপনার ফুসফুসেরই ক্ষতি করছেন না, লিভারেরও ক্ষতি করছেন। ধূমপান লিভার ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ায় এবং লিভারের কার্যকারিতা ব্যাহত করতে পারে।

পরিবেশগত বিষাক্ত পদার্থ: কিছু রাসায়নিক এবং বিষাক্ত পদার্থ লিভারের জন্য ক্ষতিকারক হতে পারে। সেক্ষেত্রে কিছু প্রাকৃতিক প্রতিকার দিয়ে লিভার ডিটক্স নিশ্চিত করুন।

ব্যায়ামের অভাব: সক্রিয় জীবনধারার অভাবে ওজন বেড়ে যেতে পারে। এর ফলে লিভারের সমস্যার ঝুঁকি বাড়াতে পারে। এ কারণে আপনার দৈনন্দিন রুটিনে ব্যায়াম অন্তর্ভুক্ত নিশ্চিত করুন৷

অতিরিক্ত চিনিযুক্ত খাবার গ্রহণ: অতিরিক্ত চিনিযুক্ত খাবার গ্রহণের ফলে নন অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভারের ঝুঁকি বাড়ে। খাদ্যতালিকা থেকে যতটা সম্ভব চিনি বা মিষ্টিজাতীয় খাবার বাদ দিন।

হাইড্রেশনের অভাব: লিভার ফাংশনসহ সামগ্রিক স্বাস্থ্যের জন্য হাইড্রেটেড থাকা গুরুত্বপূর্ণ। লিভার ভালো রাখতে প্রচুর পরিমাণে পানি পান করুন, ফল ও শাকসবজি খান। পাশাপাশি প্রাকৃতিক চিনিযুক্ত পানীয় পান করুন৷

সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *