আমাদের মুখমণ্ডল ও মাথার খুলির হাড়ের ভেতরে কিছু ফাঁপা জায়গা থাকে। সেই ফাঁপা জায়গাকে বলে সাইনাস। সাইনাসের অভ্যন্তরীণ আবরণ হিসেবে থাকে এক ধরনের ঝিল্লি। এই ঝিল্লির প্রদাহকেই বলা হয় সাইনুসাইটিস।
* নাকে জ্যাম হওয়া
* নাকের ভেতর পেছন দিকে ও গলার ওপরের দিকে গাঢ় কফ জমা
* মাথা, কপাল, মুখমণ্ডল ও চোখের চারদিকে মাঝারি থেকে তীব্র ব্যথা অনুভূত হওয়া বা ভার লাগা। ব্যথা সকালে একটু কম থাকে, দুপুরের দিকে ব্যথার তীব্রতা বেড়ে যায়, আবার বিকেলের দিকে সামান্য কমে যায়।
* মাথা নাড়াচাড়া করলে, হাঁটলে বা মাথা নিচু করলে ব্যথা বাড়ে
* অনেক সময় দাঁত ও কানেও ব্যথা হতে দেখা যায়
* নিঃশ্বাসে দুর্গন্ধ, স্বাদ ও গন্ধ কমে যাওয়া
* খুশখুশে কাশি ও গলায় কফ জমা
* জ্বর ভাব
* দুর্বলতা ও অবসাদ
নিয়ন্ত্রণের উপায়
* ঠাণ্ডা খাবেন না, ঠাণ্ডা লাগাবেন না।
* কুসুম গরম পানিতে গোসল, অজু করুন।
* ঘরের বাইরে বের হলে কিংবা ধুলাবালিময় পরিবেশে নিয়মিত মাস্ক ব্যবহার করুন।
* দিনে দু-একবার স্টিম ইনহেলেশন নিন কিংবা গরম পানির ভাপ নাক দিয়ে টানুন ও মুখ দিয়ে ছাড়ুন।
* বেশি গরমে কাজ করবেন না কিংবা একসঙ্গে টানা বেশি পরিশ্রম করবেন না।
* জানা মতে, নির্দিষ্ট কোনো খাবারে অ্যালার্জি থাকলে সেই খাবার পরিহার করুন।
* ঘরের মেঝেতে কার্পেট ব্যবহার করবেন না। বিছানার চাদর, পর্দা, মেঝে নিয়মিত পরিষ্কার করুন।
* নিয়মিত আপনার চিকিৎসকের পরামর্শ অনুসারে ওষুধ সেবন করুন।
* সর্দি, হাঁচি ও কাশির সঙ্গে কান ও মাথা ব্যথা হলে সঙ্গে সঙ্গে নিকটস্থ যেকোনো একজন নাক, কান ও গলা রোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।
কখন চিকিৎসকের কাছে যাবেন
যদি পাঁচ-সাত দিনের মধ্যে লক্ষণগুলোর উন্নতি না হয় বা একটানা প্রচণ্ড জ্বর থাকা, চোখে ঝাপসা দেখা ও ফুলে লাল হয়ে যাওয়া, প্রচণ্ড মাথা ব্যথা, বমি ও অজ্ঞান হওয়া, ঘাড় শক্ত হয়ে যাওয়া ইত্যাদি লক্ষণ দেখা দেয়, তাহলে নিকটস্থ হাসপাতালে যান অথবা একজন নাক, কান ও গলা রোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।
পরামর্শ দিয়েছেন
ডা. আলমগীর মো. সোয়েব
সিনিয়র কনসালট্যান্ট (ইএনটি)
নাক, কান ও গলা রোগ বিশেষজ্ঞ ও সার্জন, চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল