স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক আবুল বাশার খুরশীদ আলম এবং ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সেন্টারের (এমআইএস) পরিচালক ও এইচআইএস অ্যান্ড ই-হেলথের লাইন ডিরেক্টর অধ্যাপক মিজানুর রহমান করোনাভাইরাস আক্রান্ত হয়েছেন।
সেই সঙ্গে এ দপ্তরের আরও বেশ কয়েকজন কর্মীর দেহে সংক্রমণ ধরা পড়েছে বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার পরিচালক এবং মুখপাত্র অধ্যাপক ডা. নাজমুল ইসলাম শনিবার বলেন, “ডিজি স্যার কোভিড পজেটিভ হয়েছেন।”
আর এনসিডিসির লাইন ডিরেক্টর এবং মুখপাত্র অধ্যাপক মোহাম্মদ রোবেদ আমিন বলেন, “এমআইএসের পরিচালকের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। তিনি তার পরিবারসহ আক্রান্ত হয়েছেন। ডিজি স্যারের পিএসওসহ কয়েকজন পরিবারসহ আক্রান্ত হয়েছেন। স্যারের আশপাশে যারা ছিলেন, অনেকেই আক্রান্ত।”
গত ৭ ফেব্রুয়ারি সারা দেশে করোনাভাইরাসের টিকাদান শুরুর পর প্রথম দিন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের সঙ্গে নিয়ে করোনাভাইরাসের টিকা নিয়েছিলেন মহাপরিচালক খুরশীদ আলম। দেড় মাসের মাথায় টিকার দ্বিতীয় ডোজ দেওয়ার আগেই তার শরীরে সংক্রমণ ধরা পড়ল।
এর আগে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ সচিব মো. মোহসীনের দেহে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়েছিল টিকা নেওয়ার ১২ দিন পর। ঢাকার পুলিশ কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম টিকা নেওয়ার এক মাসের মাথায় করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা সে সময় বলেছিলেন, যারা টিকা নিচ্ছেন, তাদের একটি অংশও আক্রান্ত হতে পারেন। সেটা ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে দেখা গেছে এবং সব ধরনের টিকাতেই তা হতে পারে।
“এছাড়া টিকার এক ডোজেও পুরোপুরি কাজ হবে না। দুই ডোজ দিতে হবে। দুই ডোজ দেওয়ার পরই টিকা কতভাগ সংক্রমণ প্রতিরোধ করবে তা বোঝা যাবে। টিকা নেওয়া থাকলে আক্রান্ত হলেও সিভিয়ারিটি কমে যাবে।”
বাংলাদেশে দেওয়া হচ্ছে ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটে তৈরি অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার করোনাভাইরাসের টিকা। সবাইকে এ টিকার দুটি ডোজ নিতে হবে।
অ্যাস্ট্রাজেনেকা জানিয়েছিল, ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে তাদের এই টিকা নিরাপদ প্রমাণিত হয়েছে এবং ৭০ শতাংশ স্বেচ্ছাসেবীকে কার্যকর সুরক্ষা দিতে পেরেছে।
শুক্রবার পর্যন্ত বাংলাদেশে মোট ৫ লাখ ৬৬ হাজার ৮৩৮ জন কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয়েছে। সরকারি হিসাবে মারা গেছেন ৮ হাজার ৬৪২ জন।