হাইপোটেনশন পুষ্টিকর খাবারের অভাবের ফল নয় তো?

0
250
Spread the love

সাধারণত রক্তের চাপ বা ব্লাড প্রেশার ৯০/৬০ মিমি/পারদের নিচে থাকাকে হাইপোটেনশন বা নিম্ন রক্তচাপ বলি আমরা। তবে আপনার রক্তের চাপ বা ব্লাড প্রেসার কত পাওয়া যাবে তা অনেকটাই নির্ভর করে আপনার শারীরিক কাঠামো, খাদ্যাভ্যাস, লাইফ স্টাইল, মানসিক চাপ, কোন সময় প্রেশার মাপা হচ্ছে, কোন পজিশনে প্রেশার মাপা হচ্ছে, কোনো ওষুধ খাচ্ছেন কি না প্রভৃতির ওপর। হাইপোটেনশনের কারণে শরীরের অক্সিজেনের মাত্রা কমে যেতে পারে, যা হার্ট ও ব্রেনের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। অতিরিক্ত মাত্রার হাইপোটেনশনের কারণে রোগী কখনো কখনো ‘শক’-এও চলে যায়।

হাইপোটেনশনের লক্ষণ

–    চোখে ঝাপসা বা অন্ধকার দেখা

–    মাথা ঘোরা

–    হালকা মাথা ব্যথা

–    দুর্বলতা, ক্লান্তি বোধ হওয়া

–    খুব বেশি তৃষ্ণা অনুভূত হওয়া

–    বমি ভাব

–    বসা থেকে উঠলে মাথা ঘোরানো

–    অজ্ঞান হয়ে যাওয়া

–    পড়ে গিয়ে শরীরে আঘাত পাওয়া

হাইপোটেনশনের কারণ

–    পর্যাপ্ত পুষ্টিকর খাবারের অভাব

–    পানিশূন্যতা

–    ডায়েট করা বা দীর্ঘদিন কম খাওয়া

–    বেশি সময় ধরে অভুক্ত থাকা

–    হজমে দুর্বলতা

–    রক্তস্বল্পতা বা অ্যানিমিয়া

–    ডায়ারিয়া বা অত্যধিক বমি হওয়া

–    রক্তের সুগার কমে যাওয়া

–    হৃদরোগ

–    মানসিক চাপ

–    গর্ভাবস্থা

–    দীর্ঘমেয়াদি জটিল কোনো রোগ

–    নিউরোলজিক্যাল ডিস-অর্ডার

–    শরীরের অভ্যন্তরীণ কোনো ইনফেকশন

–    হরমোনের ভারসাম্যহীনতা

–    অতিরিক্ত ব্যায়াম

হাইপোটেনশন রোধে যা খাবেন

–    শরীরে পানিশূন্যতা রোধে প্রচুর পানি ও তরল খাবার খান। ফলের রসে বা শরবতে সামান্য লবণ যোগ করুন। প্রয়োজনে স্যালাইন ওয়াটার খান।

–    সুষম খাবার খান। বেশি করে শাকসবজি ও আঁশসমৃদ্ধ খাবার খান।

–    ভিটামিন বি১২-এর ঘাটতি শরীরে রক্তস্বল্পতা তৈরি করে। তাই কুসুমসহ ডিম, মুরগির ও হাঁসের মাংস, কলিজা, মাছ, ডাল, শাক, দুধ খান প্রতিদিন।

–    মটরশুঁটি, টক ফল, শাক, শিমের বিচি, অন্যান্য বিচিজাতীয় খাবার খান।

–    দুধ ও চিনি ছাড়া ডার্ক কফি রাখবে প্রতিদিনের অভ্যাসে।

–    বেশি সময় খালি পেটে থাকবেন না। সারা দিনে অল্প অল্প খাবার পাঁচ-ছয়বারে খাবেন।

–    কার্বোহাইড্রেট কমিয়ে প্রোটিন ও গুড ফ্যাট রাখুন প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায়।

 

পরামর্শ দিয়েছেন

শায়লা শারমীন

সিনিয়র নিউট্রিশনিস্ট,

ইব্রাহিম কার্ডিয়াক হসপিটাল, ঢাকা

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে