অ্যাংজাইটি অ্যাটাকের কারণ হতে পারে অতিরিক্ত মানসিক চাপ, করণীয় কী?

আমাদের দৈনন্দিন জীবনে প্রতিদিনই কোথাও না কোথাও নতুন ঘটনা, অনিশ্চয়তা ও চাপ বাড়ছে। কাছের কেউ অসুস্থ হলে কী করতে হবে, তা নিয়ে দুশ্চিন্তা তৈরি হয়। এর সঙ্গে পড়ালেখা, সংসার, অফিস, আর্থিক চাপ—সব মিলিয়ে মানসিক ক্লান্তি আমাদের অনেকের মধ্যেই দেখা দিচ্ছে। অনেকেই ভাবছেন, এত কিছু সামলানোর পরও চাকরি বা আয়ের নিরাপত্তা থাকবে তো? এই অনিশ্চয়তা থেকেই বাড়ছে মানসিক চাপ।

তবুও মনে রাখতে হবে—এমন পরিস্থিতি চিরদিন থাকবে না। কঠিন সময় একসময় কেটে যায়। কিন্তু তত দিন নিজেকে শান্ত রাখতে চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বর্তমানে মানসিক চাপ, ভয় এবং অ্যাংজাইটি অ্যাটাকের ঘটনা আগের তুলনায় অনেক বেশি দেখা যাচ্ছে।

উদ্বেগ বেড়ে গেলে শরীরে কিছু শারীরিক লক্ষণও দেখা দিতে পারে—শ্বাস দ্রুত হওয়া, বুক ধড়ফড়, মাথা ঘোরা, বমি বমি ভাব, হাত-পা অবশ হয়ে যাওয়া বা অতিরিক্ত ঘাম হওয়া। এগুলো সিম্প্যাথেটিক নার্ভাস সিস্টেম সক্রিয় হয়ে যাওয়ার কারণে হয়। শরীরে কোনো সমস্যা নাও থাকতে পারে, কিন্তু তবু মনে হবে দম নিতে কষ্ট হচ্ছে।

অস্থিরতা, ভয় ও দুশ্চিন্তা এসব অনুভূতি স্বাভাবিক।

কিন্তু অতিরিক্ত উদ্বেগ কোনো সমস্যার সমাধান নয়, বরং তা আরো স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়ায়। তাই নিজেকে ধীরে ধীরে নিয়ন্ত্রণে আনা জরুরি।

এ ধরনের পরিস্থিতিতে—
মেডিটেশন বা শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়াম করুন।
যাকে বিশ্বাস করেন, তার সঙ্গে কথা বলুন।
নিয়মিত ব্যায়াম করুন।

নিজের পছন্দের কাজ বা শখে কিছু সময় দিন।

যদি বারবার এমন উদ্বেগ দেখা দেয় বা দৈনন্দিন জীবনে বাধা সৃষ্টি করে, তাহলে মনোবিদ বা কাউন্সিলরের পরামর্শ নেওয়াই সবচেয়ে ভালো। এখন অনলাইন সেশন সহজলভ্য হওয়ায় সহায়তা পাওয়া আরো সহজ হয়েছে।

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *