পলিসিসটিক ওভারি সিনড্রোম

0
পলিসিস্টিক ওভারি সিন্ড্রোম হরমোনজনিত স্বাস্থ্য সমস্যা যা সবচেয়ে বেশি সংখ্যক মানুষকে আক্রান্ত করেছে। এটি প্রধানত বালিকা ও মহিলাদের প্রজনন সময় হয়ে থাকে (১৫-৪৪ বছর) সংখ্যার কিছুটা তারতম্য হলেও ১৫ বছর থেকে বয়স ৪৫ বছরের দিকে যত আগাতে থাকে পলিসিস্টিক ওভারি সিন্ড্রোমের রোগীর সংখ্যা তত বৃদ্ধি পেতে থাকে (২.২-২৬.৭) %। পৃথিবীর প্রত্যেকটি পলিসিস্টিক ওভারি রোগীর সংখ্যা আলাদ আলাদা রকম এবং এ সংখ্যা রক্তক্ষরণের ক্রাইটেরিয়ার কারণে আলাদা হতে পারে। ইউরোপের দেশগুলোর প্রজননক্ষম মহিলাদের ১৫-২০ শতাংশ এ সমস্যায় আক্রান্ত। আমেরিকার দেশগুলোতে এর সংখ্যা ২০ শতাংশের কাছাকাছি। এশিয়ার দেশগুলোতে এ সংখ্যা আরও বেশি হবে বলে আশঙ্কা করা হয়। তবে বাংলাদেশের ২৫ শতাংশের কাছাকাছি হবে বলে ধরে নেওয়া হয়। পলিসিস্টিক ওভারি সিনড্রোম মূলতঃ নারী দেহে এন্ড্রোজেন(পুরুষ যৌন হরমন)- এর অধিক্যের কারণে সংগঠিত শারীরিক সমস্যা। এ কারণে এন্ড্রোজেন হরমোনের প্রভাবে বিভিন্ন রকম লক্ষণ দেখা দিতে থাকে, যেমন- ক) অনিয়মিত মাসিক, খ) অতিরিক্ত রক্তস্রাব, গ) মুখে ও শরীরে অত্যাধিক লোম, ঘ) ব্রণ মুখে ও শরীরের অন্যান্য অংশে। আরোও কিছু শারীরিক সমস্যা এর সাথে থাকতে পারে- তল পেটে ব্যাথা, মখমলের মত কালো ত্বক( ঘাড়, বগল ইত্যাদি জায়গায়) ও বন্ধ্যাত্ব। এ রোগীদের টাইপ-২ ডায়াবেটিস হবার ঝুকি অনেক বেড়ে যায়। এদের অনেকেই দৈহিক স্থলতায় আক্রান্ত হয়, নাক ডাকা ও ঘুমের মাঝে হঠাৎ করে শ্বাস বন্ধ হয়ে যাওয়া, হৃদরোগের ঝুকি বেড়ে যাওয়া, মানষিক ভারসাম্যহীন্তা ও জ্বরায়ু ক্যান্সারের ঝুকি বৃদ্ধি পেতে পারে। পলিসিস্টিক ওভারি সিন্ড্রোম একটি জীনগত ত্রুটি ও পরিবেশগত ত্রুটির সমন্বিত ফল। জীন গত ত্রুটি আছে এমন কিশোরির দৈহিক ওজন বৃদ্ধি পাওয়া, খুব কম শ্রম ও ঝুকিপূর্ণ খাদ্য গ্রহণ ইত্যাদি এরোগের সম্ভাবনা বাড়িয়ে দেয়। পলিসিস্টিক ওভারি সিন্ড্রোম দেখা দেয় যখন, ডিম্বাশয় অতিরিক্ত পরিমাণ টেস্টোস্টেরন হরমণ তৈরি করতে উদ্দীপ্ত হয়। যার পেছনে পিটুইটারি গ্রন্থি কর্তৃক অতিরিক্ত এলএইস(খঐ) নিঃস্বরণ ও দেহে ইনসুলিন রেজিস্ট্রেন্স এর উপস্থিতি। পলিসিসটিক ওভারি সিনড্রোম নাম হওয়ার প্রধান কারণটি হল এ রোগীদের ডিম্বাশয়ের বিভিন্ন বয়সের, বিভিন্ন আকারের, বিভিন্ন সংখ্যার লিস্ট থাকতে পারে কিন্তু এটি পরিষ্কারভাবে একটি হরমোনজনিত সমস্যা। অধিকাংশ রোগীর দেহে ইনসুলিন রেজিস্টেন্স থাকে এবং তারা স্থূলকায় হয়। লক্ষণঃ ১। অনিয়মিত মাসিকঃ এক্ষেত্রে বেশি দিন অন্তর ঋতুস্রাব এবং অধিকাংশ ক্ষেত্রে অল্পমাত্রায় ঋতুস্রাব, তবে কারো কারো ক্ষেত্রে অতিরিক্ত ঋতুস্রাব। কিন্তু মাসের পর মাস ঋতুস্রাব বন্ধ থাকা অস্বাভাবিক নয়। এ সমস্যা যেকোনো সময় দেখা দিতে পারে। ২। বন্ধ্যাত্বঃ অধিকাংশ নারীই সন্তান দানে ব্যর্থ হয়েছেন মূলত পলিসিস্টিক ওভারি সিন্ড্রোমের কারণে। ৩। পুরুষালি হরমন বৃদ্ধিঃ অতিরিক্ত এসব হরমনের প্রভাবে শরীরে পুরুষের মত লোম দেখা দিতে পারে, ব্রণ ও পুরুষালী টাকসহ ইত্যাদি। প্রতি ৪ জনের ৩ জনেরই এটা প্রকাশ পায়। ৪। মেটাবলিক সিন্ড্রোমঃ এতে ইন্সুলিন রেজিস্ট্রেন্স এর লক্ষণগুলো প্রকাশ পেতে থাকে- ক্রমশঃ ওজন বৃদ্ধি, রক্তে গ্লুকোজ বৃদ্ধি, ঘাড় ও বগলে নরম কালো ত্বক, অস্বাভাবিক কোলেস্টেরল, স্মৃতিশক্তি হ্রাস ইত্যাদি। রোগ শনাক্তকরণঃ ১। অতিরিক্ত এন্ড্রোজেন হরমনের উপস্থিতি ২। ডিম্বাশয়ে সিস্ট ৩। অনিয়মিত পরীক্ষা-নীরিক্ষাঃ -সিরাম টেস্টোস্টেরন, এলিস, এফএসএইস -পেটের আল্ট্রাসনোগ্রাম -ওজিটিটি চিকিৎসাঃ -জীবন-যাত্রা ব্যবস্থাপনা ঔষধঃ -জন্ম নিয়ন্ত্রক পীল -মেটফরমিন- -অবাঞ্চিত লোম দূর করবার ক্রীম -প্রজনন সম্ভাবনা বৃদ্ধির ওষুধ পলিসিস্টিন ওভারি সিন্ড্রোম এ লক্ষণ গুলো সহজেই প্রকাশ পায় না বা অনেকেই সংকোচ বোধের কারনে চিকিৎসা করাতে বা প্রকাশ করতে দেরি করেন ফলে রোগটি মারাত্মক আকার ধারণ করে ও স্বাস্থ্য ঝুকি সৃষ্টি করে। তাই প্রজননক্ষম সকল নারীকে এ রোগের ব্যাপারে নিশ্চিত হতে হরমন বিশেষজ্ঞ এর শরণাপন্ন হতে হবে। লেখক: ডা. শাহজাদা সেলিম সহকারী অধ্যাপক, এন্ডোক্রাইনোলজি বিভাগ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়। হরমোন ও ডায়াবেটিক বিশেষজ্ঞ।

সরকারি চাকরিতে বয়স ছাড় দিতে মন্ত্রণালয়গুলোকে নির্দেশ

0
করোনাভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতিতে বিসিএস ছাড়া সরকারি চাকরিতে প্রবেশকালে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে চাকরিপ্রার্থীদের সর্বোচ্চ বয়সসীমা নির্ধারণ করে দিয়েছে সরকার। গত ২৫ মার্চ যাদের বয়স ৩০ বছর পূর্ণ হয়েছে, তাদের আবেদনের যোগ্য বিবেচিত করে মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও সংস্থাগুলোকে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করতে বলেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। এতে বলা হয়েছে, ২৫ মার্চের আগে নিয়োগের ছাড়পত্র গ্রহণসহ সার্বিক প্রস্তুতি সম্পন্ন করা সত্ত্বেও কভিড-১৯ পরিস্থিতির কারণে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করতে পারেনি, সেসব দপ্তরের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে ২৫ মার্চ তারিখের প্রার্থীদের সর্বোচ্চ বয়সসীমা নির্ধারণ করে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সংশ্রিষ্ট সব মন্ত্রণালয়/বিভাগকে অনুরোধ জানানো হলো। বর্তমানে সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩০ বছর, মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের ক্ষেত্রে ৩২ বছর। প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির চাকরিতে সরকারি কর্মকমিশনের (পিএসসি) মাধ্যমে নিয়োগ দেওয়া হয়। তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির পদগুলোতে নিয়োগের দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট সরকারি দপ্তরের। সূত্রঃ কালের কন্ঠ

সিজারিয়ান জটিলতা

অস্ত্রোপচারে বা সিজারিয়ান অপারেশনের মাধ্যমে সন্তান প্রসবের পর নতুন মায়েদের অনেক সময় তীব্র মাথাব্যথা হয়। স্পাইনাল অ্যানেসথেশিয়া বা মেরুদণ্ডে সুই ফুটিয়ে চেতনানাশক ইনজেকশন দেওয়ার কারণে এমনটা হয়। অতীতে নিম্নাঙ্গ অবশ করতে মোটা সুই ব্যবহার করা হতো। এ কারণে সে সময় প্রায় ৬৬ শতাংশ ক্ষেত্রেই তীব্র মাথাব্যথা হতো। কিন্তু এখন আধুনিক ও সূক্ষ্ম সুই ব্যবহার করা হয়। এ কারণে মাথাব্যথার হার ১১ শতাংশে নেমে এসেছে। মেরুদণ্ডের ভেতর স্পাইনাল কর্ড বা মেরুরজ্জুর আবরণী ডুরাম্যাটারে অপেক্ষাকৃত বড় ছিদ্র হয়ে যাওয়াই এই মাথাব্যথার মূল কারণ। সুইয়ের আকার–আকৃতি ছাড়াও আরও কিছু বিষয় এর সঙ্গে জড়িত। কয়েকবারের চেষ্টায় সুই ফোটানো, পানিশূন্যতা, কম ওজন বা আগে মাথাব্যথার ইতিহাস এর মধ্যে অন্যতম। এই মাথাব্যথা সাধারণত অস্ত্রোপচারের প্রথম বা দ্বিতীয় দিন থেকে শুরু হয়, সাত দিনের কম স্থায়ী হয়। তবে খুবই কম ক্ষেত্রে ১৪ দিন পর্যন্তও স্থায়ী হতে পারে। মাথাব্যথার তীব্রতা যদি এমন হয় যে মায়ের স্বাভাবিক কাজকর্মে ব্যাঘাত ঘটে বা নবজাতককে দুধ দিতে বা যত্ন নিতে সমস্যা হয়, তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। মেরুদণ্ডে সুই ফুটিয়ে চেতনানাশক ইনজেকশন দেওয়ার কারণে সিজারিয়ান অপারেশনের পর নতুন মায়েদের অনেক সময় তীব্র মাথাব্যথা হয়। এই ব্যথা মাথার সামনে ও পেছনের দিকে হয়, ঘাড় শক্ত হয়ে থাকে। কখনো ব্যথা দুই কানের ওপর পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়ে, চোখের পেছনেও অনুভূত হয়। বসা বা দাঁড়ানো অবস্থায় বাড়ে, শুয়ে থাকলে কিছুটা প্রশমিত হয়। মাথাব্যথার সঙ্গে মাথা ঘোরা, বমি ভাব, শ্রবণশক্তি কমে যেতে পারে। স্পাইনাল অ্যানেসথেশিয়ার পর তীব্র মাথাব্যথা শুরু হলে একজন অ্যানেসথেশিয়া বিশেষজ্ঞ বা অবেদনবিদ চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। অস্ত্রোপচারের পর প্রচুর পানি পান করতে হবে। যথেষ্ট পানি পান করতে না পারলে বা বমি ভাব থাকলে শিরায় স্যালাইন দিতে হবে। আরামদায়ক অবস্থানে শুতে হবে। অস্ত্রোপচারের পর বেশি শুয়ে থাকলে আবার পায়ের শিরায় রক্ত জমাট বাঁধার আশঙ্কা থাকে। তাই বিশেষ মোজা পরতে হতে পারে। কফি পান করলে কিছুটা আরাম পাওয়া যায়। ব্যথা কমাতে প্যারাসিটামল সেবন করা যাবে। যদি ব্যথানাশক, পানি বা স্যালাইন খাওয়ার কিংবা বিশ্রাম নেওয়ার পরও তীব্র মাথাব্যথা থাকে, তাহলে অ্যানেসথেশিয়া বিশেষজ্ঞের পরামর্শে ব্যবস্থা নিতে হবে। সূত্রঃ প্রথমআলো 

কমছে রোগী, বন্ধ হচ্ছে সেবাকেন্দ্র

সিলেটে রোগীশূন্য হাসপাতাল বাসার চিকিৎসায় আক্রান্তরা সিলেটে দিন দিন কমছে করোনা সংক্রমণ। বাড়ছে সুস্থতা। জনসচেতনতা বাড়ায় আক্রান্তরাও প্রয়োজন ছাড়া যাচ্ছেন না হাসপাতালে। বাসায় আইসোলেশনে থেকেই নিয়ম মেনে নিচ্ছেন চিকিৎসা। ফলে রোগীশূন্য হয়ে পড়েছে ‘কভিড ডেডিকেটেড’ হাসপাতালগুলো। তিনটি হাসপাতালের ১৮১ শয্যার বিপরীতে গতকাল রোগী ভর্তি ছিলেন মাত্র ৬৬ জন। এই অবস্থায় ‘কভিড ডেডিকেটেড’ হাসপাতাল কমানোরও চিন্তাভাবনা চলছে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট সূত্র। দেশে করোনা সংক্রমণের শুরুতে সিলেটেও নেওয়া হয় চিকিৎসার প্রস্তুতি। শুরুতে শহীদ শামসুদ্দিন আহমদ হাসপাতালকে সিলেট বিভাগের একমাত্র ‘কভিড ডেডিকেটেড’ হাসপাতাল ঘোষণা দিয়ে শুরু হয় চিকিৎসা কার্যক্রম। গত মে মাস থেকে করোনা সংক্রমণ বাড়তে থাকলে ১০০ শয্যার শহীদ শামসুদ্দিন আহমদ হাসপাতাল রোগীতে প্রায় পূর্ণ হয়ে যায়। ফলে করোনা রোগীদের চিকিৎসার জন্য প্রয়োজন দেখা দেয় নতুন হাসপাতালের। পরে সিলেট কিডনি ফাউন্ডেশন ও প্রবাসীদের সহযোগিতায় খাদিমপাড়া ও দক্ষিণ সুরমা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সকে ‘কভিড ডেডিকেটেড’ হাসপাতাল হিসেবে প্রস্তুত করার কাজ শুরু হয়। সিলেট বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালকের কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, গতকাল সকাল ৮টা পর্যন্ত সিলেটের তিনটি ‘কভিড ডেডিকেটেড’ হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা ছিল মাত্র ৬৬ জন। এর মধ্যে ৫২ জনই শহীদ শামসুদ্দিন আহমদ হাসপাতালে। বাকিদের মধ্যে খাদিম হাসপাতালে নয়জন ও দক্ষিণ সুরমা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মাত্র পাঁচজন। এই অবস্থায় রোগী সংকটের কারণে শহীদ শামসুদ্দিন আহমদ হাসপাতালকে চালু রেখে খাদিমপাড়া বা দক্ষিণ সুরমা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মধ্যে একটিতে করোনার ডেডিকেটেড চিকিৎসা বন্ধের চিন্তা ভাবনা চলছে। সিলেট বিভাগীয় স্বাস্থ্য অফিসের সহকারী পরিচালক ডা. আনিসুর রহমান জানান, সিলেটে আগের চেয়ে করোনা সংক্রমণ কমেছে। দিন দিন সুস্থতার হারও বাড়ছে। করোনার চিকিৎসা পদ্ধতিতে পরিবর্তন আনায় মৃত্যুর সংখ্যাও কমেছে। মানুষের মধ্যে সচেতনতা বাড়ায় অনেকেই নিজ বাসায় আইসোলেশনে থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন। তাই হাসপাতালে রোগীর সংখ্যা কমছে। আগে যেখানে হাসপাতালে রোগীদের ভর্তি করতে হিমশিম খেতে হয়েছে এখন রোগীর চাপ অনেকটাই কমেছে। চট্টগ্রামে বন্ধ হলো তিন করোনা সেবাকেন্দ্র

চট্টগ্রামে করোনাভাইরাস চরম পর্যায় ধারণ করার সময়ই প্রতিষ্ঠা করা হয় চট্টগ্রাম ফিল্ড হাসপাতাল। এটিই চট্টগ্রামের প্রথম বেসরকারি করোনা সেবাকেন্দ্র। কিন্তু গত এক সপ্তাহ আগে এটি বন্ধ করে দেওয়া হয়। একইভাবে বন্ধ করা হয় চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের উদ্যোগে তৈরি হওয়া করোনা আইসোলেশন সেন্টার। সর্বশেষ গত মঙ্গলবার বন্ধ ঘোষণা করা হয় তরুণদের উদ্যোগে প্রস্তুত করা করোনা আইসোলেশন সেন্টার চট্টগ্রাম। তাছাড়া বর্তমানে চালু থাকা আরও অন্তত তিনটি আইসোলেশন সেন্টার ও ফিল্ড হাসপাতালও বন্ধের পথে। তবে উদ্যোক্তারা বলছেন, করোনার প্রথম দিকে আইসোলেশন সেন্টারে রোগীর চাপ বেশি ছিল। পর্যায়ক্রমে রোগীর চাপ কমায় এসব সেবাকেন্দ্র বন্ধ করা হচ্ছে। তাছাড়া আর্থিক সংকটও একটি বড় কারণ। তবে রোগী থাকলে যে কোনো উপায়ে অর্থের সংস্থান হতো। রোগী না থাকায় প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়। জানা যায়, গত মার্চ মাসের পর থেকে চট্টগ্রামে সিটি করপোরেশন ও বেসরকারি উদ্যোগে অন্তত ছয়টি ফিল্ড হাসপাতাল ও আইসোলেশন সেন্টার প্রস্তুত করা হয়। এর মধ্যে একটি ৬০ শয্যার ফিল্ড হাসপাতাল এবং ১০০ শয্যা করে দুটি আইসোলেশন সেন্টার বন্ধ হয়ে যায়। চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বি বলেন, ‘এখন করোনা রোগীর সংখ্যা কমছে। যেসব রোগী আসছে তাদেরকে সরকারি হাসপাতালগুলোতে প্রয়োজনীয় সেবা দেওয়া সম্ভব হচ্ছে। তাই বেসরকারি উদ্যোগে গড়ে ওঠা সেবাকেন্দ্রগুলোতে রোগীর চাপ কমছে। তাছাড়া সেন্টারগুলো পরিচালনাও ব্যয় বহুল।’ সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, গত ২৪ ঘণ্টায় ১ হাজার ১২০টি নমুনা পরীক্ষা করে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৭৬ জন। এ নিয়ে চট্টগ্রামে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১৮ হাজার ৭৪ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রামে কেউ মুত্যুবরণ করেননি। ইতিমধ্যে মারা গেছেন ২৮১ জন। বর্তমানে চট্টগ্রামে ছয়টি ল্যাবে নমুনা পরীক্ষা চলছে। সূত্রঃ  বাংলাদেশ প্রতিদিন

করোনা আপডেট

0
করোনায় মৃত্যুর হার সবচেয়ে বেশি চাঁদপুরে দেশে মৃত্যুর হার ১.৪%। তবে চাঁদপুরে সেটি ৪.৮%। মৃত্যুর হারে দ্বিতীয় কুমিল্লা, তৃতীয় ঝিনাইদহ। আর সংখ্যার দিক থেকে মৃত্যু বেশি ঢাকায়। শুরু থেকে এখন পর্যন্ত ঢাকায় করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ও মৃত্যু বেশি। মোট মৃত্যুর এক–তৃতীয়াংশও ঢাকায়। তবে সংখ্যার দিক থেকে ঢাকায় মৃত্যু বেশি হলেও জেলাভিত্তিক নিশ্চিত আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বিবেচনায় মৃত্যুর হার সবচেয়ে বেশি চাঁদপুরে। বাংলাদেশে করোনার সংক্রমণ নিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিবেদনের তথ্য বিশ্লেষণ করে এই চিত্র পাওয়া গেছে। গত মঙ্গলবার প্রকাশিত ওই প্রতিবেদনে দেশের ৬৪ জেলায় জেলাভিত্তিক নিশ্চিত আক্রান্ত রোগী ও মৃত্যুর সংখ্যা উল্লেখ করা হয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চাঁদপুরে এ পর্যন্ত (১৪ সেপ্টেম্বর) করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন ২ হাজার ২০২ জন। এর মধ্যে মারা গেছেন ১০৬ জন। সে হিসাবে চাঁদপুরে আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে মৃত্যুর হার ৪ দশমিক ৮১ শতাংশ। মৃত্যুর হারের দিক থেকে চাঁদপুরের পাশের জেলা কুমিল্লা আছে দ্বিতীয় স্থানে। এই জেলায় মৃত্যুর হার ৩ দশমিক ৫২ শতাংশ। তৃতীয় স্থানে আছে ঝিনাইদহ। এখানে মৃত্যুর হার ৩ দশমিক ১২ শতাংশ। এই তিন জেলায় মৃত্যুর হার ৩ শতাংশের ওপরে। এর বাইরে ২৬টি জেলায় করোনায় মৃত্যুর হার ২ থেকে ৩ শতাংশের মধ্যে। আর ঢাকাসহ ৯টি জেলায় মৃত্যুর হার ১ শতাংশের কম। বাকি আট জেলা হচ্ছে রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি, বান্দরবান, রাজবাড়ী, নরসিংদী, সুনামগঞ্জ, হবিগঞ্জ ও জয়পুরহাট। দেশে মৃত্যুর হার সবচেয়ে কম বান্দরবানে, শূন্য দশমিক ৫৪ শতাংশ। বাকি ২৬টি জেলায় মৃত্যুর হার ১ থেকে ২ শতাংশের মধ্যে। আর সারা দেশে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বিবেচনায় নিলে মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৪১ শতাংশ। দেশে করোনায় মৃত্যু নিয়ে এখন পর্যন্ত সরকারিভাবে বিস্তারিত কোনো গবেষণা হয়নি। চাঁদপুর, কুমিল্লায় মৃত্যুর হার কেন এত বেশি এবং অন্য জেলায় মৃত্যুর হার সে তুলনায় কম কেন, তার সুনির্দিষ্ট কারণ এখনো অজানা। তবে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, ঢাকার বাইরে পরীক্ষা কম হচ্ছে। যে কারণে সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের অনেকে পরীক্ষার বাইরে রয়ে যাচ্ছেন। এতে নিশ্চিত আক্রান্তের সংখ্যা কম হচ্ছে। মৃত্যুর হার বেশি হওয়ার এটি একটি কারণ। আবার ঢাকার বাইরে চিকিৎসাসেবাও ততটা উন্নত নয়, মানুষের মধ্যে সচেতনতাও কম। এসব কারণে মৃত্যুর হার ঢাকার বাইরে বেশি। চাঁদপুরে প্রথম করোনায় মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করা হয় গত ৪ এপ্রিল। এপ্রিল, মে, জুন, জুলাই—এই চার মাসে সেখানে করোনার সংক্রমণ ও মৃত্যুর ঘটনা বেশি ঘটেছে। আবার এই জেলার মধ্যে চাঁদপুর সদর, হাজীগঞ্জ ও ফরিদগঞ্জে মৃত্যুর ঘটনা বেশি। তবে আগস্ট মাস থেকে মৃত্যুর সংখ্যা কমে এসেছে। শুরুর দিকে চিকিৎসাব্যবস্থার অপ্রতুলতার কারণে মৃত্যু বেশি হয়েছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। জেলার কোনো সরকারি হাসপাতালে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র (আইসিইউ) নেই। চাঁদপুর জেলা সিভিল সার্জন মো. সাখাওয়াত উল্লাহ প্রথম আলোকে বলেন, এখানে আইসিইউ নেই, শুরুর দিকে কেন্দ্রীয়ভাবে অক্সিজেন সরবরাহব্যবস্থাও ছিল না। এসব কারণে মৃত্যুর ঘটনা বেশি ঘটেছে। গত আগস্টে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে কেন্দ্রীয়ভাবে অক্সিজেন সরবরাহব্যবস্থা চালু হয়েছে। এটি হওয়ার পর আগস্ট থেকে মৃত্যু কমে এসেছে। এক–তৃতীয়াংশ মৃত্যু ঢাকায় ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনা সংক্রমিত রোগী শনাক্তের কথা জানানো হয়। সরকারের তথ্য অনুযায়ী, প্রথম মৃত্যুর ঘটনা ১৮ মার্চ। শুরুতে করোনা শনাক্তের পরীক্ষা ঢাকাতেই সীমিত ছিল। রোগীও বেশি ছিল ঢাকায়। পরে দেশের বিভিন্ন জায়গায় পরীক্ষাসুবিধা সম্প্রসারণ করা হয়। কিন্তু এখনো প্রতিদিন সারা দেশে যে পরীক্ষা হয়, তার অর্ধেকের বেশি হয় ঢাকায়। ঢাকায় রোগী শনাক্তও হচ্ছে বেশি। সংখ্যার দিক থেকে মৃত্যুও হচ্ছে বেশি। ঢাকা জেলায় নিশ্চিত আক্রান্তের সংখ্যা দুই লাখের কাছাকাছি পৌঁছেছে। ১৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ঢাকায় মোট শনাক্ত রোগী ছিলেন ১ লাখ ৭৭ হাজার ৯৯৩ জন। এর মধ্যে মারা গেছেন ১ হাজার ৫৪৭ জন। মারা যাওয়া ব্যক্তিদের এক–তৃতীয়াংশ ঢাকার বাসিন্দা। সংখ্যায় বেশি হলেও আক্রান্তের সংখ্যা বিবেচনায় ঢাকায় মৃত্যু হার কম। এখানে মৃত্যুর হার ১ শতাংশের নিচে, দশমিক ৮৬ শতাংশ। মৃত্যুর হার বেশি ৩ বিভাগে দেশের আট বিভাগের মধ্যে ঢাকা, সিলেট, রংপুর, ময়মনসিংহ ও রাজশাহী বিভাগে মৃত্যুর হার ২ শতাংশের কম। আর চট্টগ্রাম, বরিশাল ও খুলনায় এটি ২ শতাংশের ওপরে। বিভাগভিত্তিক হিসাবে মৃত্যুর হার সবচেয়ে বেশি বরিশাল বিভাগে, ২ দশমিক ৩৩ শতাংশ। এই বিভাগের ভোলা বাদে বরিশাল, পটুয়াখালী, পিরোজপুর ও ঝালকাঠিতে মৃত্যুর হার ২ শতাংশের ওপরে। সবচেয়ে বেশি পটুয়াখালীতে ২ দশমিক ৯৪ শতাংশ। চট্টগ্রাম বিভাগে মৃত্যুর হার ২ দশমিক ২৮ শতাংশ। বিভাগের চাঁদপুর, কুমিল্লা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, লক্ষ্মীপুর, নোয়াখালী ও ফেনীতে মৃত্যুর হার ২ শতাংশের ওপরে। খুলনা বিভাগে মৃত্যুর হার ২ দশমিক শূন্য ৪ শতাংশ। এখানকার বাগেরহাট, মেহেরপুর, সাতক্ষীরা, ঝিনাইদহ, কুষ্টিয়া ও চুয়াডাঙ্গায় মৃত্যুর হার ২ শতাংশের বেশি। গতকাল স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত মঙ্গলবার সকাল ৮টা থেকে গতকাল বুধবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় দেশে মোট ১৩ হাজার ৩৬০ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এর মধ্যে ১ হাজার ৬১৫ জন আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন। শনাক্তের হার ১২ দশমিক শূন্য ৯ শতাংশ। এই সময়ে মারা গেছেন ২১ জন। গত ৪৬ দিনের মধ্যে এটা এক দিনে সবচেয়ে কম মৃত্যুর সংখ্যা। এর আগে ২ আগস্ট ২৪ ঘণ্টায় ২১ জনের মৃত্যুর তথ্য জানানো হয়েছিল। গতকাল বুধবার পর্যন্ত দেশে মোট নিশ্চিত আক্রান্তের সংখ্যা ৩ লাখ ৪২ হাজার ৬৭১। এর মধ্যে মারা গেছেন ৪ হাজার ৮২৩ জন। জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পাবলিক হেলথ অ্যাডভাইজারি কমিটির সদস্য আবু জামিল ফয়সাল প্রথম আলোকে বলেন, জেলা শহরগুলোতে তুলনামূলক পরীক্ষা কম। শনাক্তের সংখ্যাও কম। এ কারণে মৃত্যুর হার বেশি হয়ে থাকতে পারে। কোন জেলায় কত মৃত্যু, হার কত, মৃত্যুর কারণ কী—এ বিষয়গুলো নিয়ে এখনো গবেষণা হয়নি। এটি করা খুব জরুরি। তিনি বলেন, এখন শনাক্তের হার কমে এসেছে। কিন্তু সারা দেশে এই হার একই রকম নয়। এদিকেও নজর দেওয়া দরকার সূত্রঃ প্রথমআলো

PANEL BASED PAED. CARDIOLOGY LIVE WEBINER

Details of this Webinar are given below-

Topic: How Should I Manage My TGA Cases at any Age Date & Time: 18th September 2020, Friday at 6:30 PM Chairperson: Prof. Mohd. Zahid Hussain, Pro-VC & Head of Paediatric Cardiology, BSMMU, Dhaka. Key Note Speaker: Dr Raman Krishna Kumar, MD, DM, FACC, FAHA Clinical Prof. & Head, Pediatric Cardiology, Amrita Inst. of Medical Sciences, Kochi, Kerala. Panel of Expert: Prof. Kazi Abul Hasan, Paed. Cardiac Surgeon, Ibnsina Hospital, Dhaka. Prof. Md. Sharifuzzaman, Paed. Cardiac Surgeon, NHFH&RI, Dhaka. Dr. Abdullah Shahriar, Assoc. Prof. & Head of Paed. Cardiology, NICVD, Dhaka. Dr. Rezoana Rima, Assoc. Prof. of Paed. Cardiology, Dhaka Shisu Hospital. Moderator: Dr. Md. Tariqul Islam, Assoc. Prof of Paed. Cardiology, BSMMU, Dhaka. You can also enjoy the live Streaming by clicking on the following link of Beximco Pharma facebook page. Facebook Link: https://www.facebook.com/BeximcoPharmaceuticalsLtd/

৭ দফা দাবিতে ফিজিওথেরাপি স্টুডেন্টস ইউনিয়নের মানববন্ধন

অতিসত্বর বাংলাদেশ কলেজ অব ফিজিওথেরাপি ভবন নির্মাণ, সরকারি প্রতিষ্ঠানের ইন্টার্ন ফিজিওথেরাপিস্টদের জন্য মাসিক ইন্টার্ন ভাতা চালু করা, বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোতে ইন্টার্ন ভাতা প্রদান বাধ্যতামূলক করাসহ সাত দফা দাবিতে মহাখালীস্থ স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদফতরের ডিজির দফতরের সামনে বুধবার মানববন্ধন করেছে বাংলাদেশ ফিজিওথেরাপি স্টুডেন্টস ইউনিয়ন (বাপসু)। মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, বাপসু’র আহ্বায়ক নুজাইম খান প্রান্ত, ইন্টার্ন ফিজিও চিকিৎসকদের পক্ষে ডা. শান্তনু বাড়ৈ, বাপসু’র প্রচার সম্পাদক সালাউদ্দিন মুন। নেতারা জানান, স্বাস্থ্য অধিদফতরের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের ডিজি ২টি (৩ ও ৬ নম্বর) দাবি নিয়ে কাজ করার আশ্বাস দেন। স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগের ডিজির সাথে কথা বলার কথা বলেন। সেই পরিপ্রেক্ষিতে বাপসু গত রোববার স্বাস্থ্য শিক্ষা ডিজির সাথে দেখা করে স্মারকলিপি জমা দেয়। কিন্তু উনি বাপসুর স্মারকলিপি গ্রহণ না করায় বাপসু বুধবার স্বাস্থ্য শিক্ষা ডিজির ভবনের সামনে মানববন্ধন করে। মানববন্ধন শেষে তারা স্বাস্থ্য শিক্ষা ডিজির রুমের সামনে দাবি আদায়ের জন্য ঘণ্টাব্যাপী অবস্থান করে। মানববন্ধনে নেতারা বলেন, ১৯৭২ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হাত ধরে এ দেশে সর্বপ্রথম ফিজিওথেরাপি পেশা হিসেবে প্রতিষ্ঠা পায়। আজ এই পেশা বিভিন্ন সমস্যায় জর্জরিত। সমস্যাগুলো সমাধানের লক্ষ্যে বিগত কয়েক বছর ধরে আমাদের আন্দোলন চলে আসছিল। আমাদের দাবিগুলোর মধ্যে সর্বপ্রথম দাবিটি ছিল স্বতন্ত্র ফিজিওথেরাপি কলেজ বাস্তবায়ন। সেই লক্ষ্যে ২০০৯ সালে টানা ৫২ দিনের অবস্থান কর্মসূচির পর মহাখালীর সাততলা বস্তিতে বরাদ্দকৃত জায়গায় ভিত্তিপ্রস্থর স্থাপন করা হয়। কিন্তু নানা ধরনের অশুভ তৎপরতার কারণে আমাদের প্রিয় ফিজিওথেরাপি কলেজটি এখন পর্যন্ত বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়নি। তারা বলেন, পাশকৃত ফিজিওথেরাপিস্টদের এক বছর ইন্টার্নি করতে হয়। ইন্টার্নির সময়ও তাদেরকে সরকারি ভাতা প্রদান করা হয় না। এমনকি এই করোনা মহামারির মধ্যেও ইন্টার্ন ফিজিওথেরাপিস্টরা নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছে। তারপরেও তারা এখন পর্যন্ত কোন ধরনের সরকারি ভাতা পাচ্ছেনা। এখন পর্যন্ত প্রায় সহস্রাধিক শিক্ষার্থী স্নাতক শেষ করে ব্যক্তিগত উদ্যোগে ‘ফিজিওথেরাপিস্ট’ হিসেবে জাতির সেবায় নিয়োজিত আছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত কোনো সরকারি চাকরির ব্যবস্থা হয়নি। পরে তারা স্বাস্থ্য অধিদফতরের ডিজির কাছে ৭ দফা দাবি উত্থাপন করে। দাবিগুলো হলো, অতিসত্বর ‘বাংলাদেশ কলেজ অব ফিজিওথেরাপি’র ভবন নির্মাণ বাস্তবায়ন করতে হবে। ভবন নির্মাণ সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত অস্থায়ী ক্যাম্পাসে কলেজের শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করতে হবে। অনতিবিলম্বে সরকারি হাসপাতাল বা স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানে ফিজিওথেরাপিস্টদের প্রথম শ্রেণীর পদ সৃজন ও নিয়োগ প্রদানের আদেশ দিতে হবে। ফিজিওথেরাপি শিক্ষায় ভর্তি পরীক্ষার জন্য ন্যূনতম জিপিএ (এসএসসি+এইচএসসি) ০৯.০০ নির্ধারণ করতে হবে। একইসাথে সরকারি ও বেসরকারি সকল প্রতিষ্ঠানে স্বাস্থ্য অধিদফতর নিয়ন্ত্রিত ‘সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষার’ মাধ্যমে শিক্ষার্থী ভর্তির ব্যবস্থা করতে হবে। সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বিষয়ভিত্তিক পর্যাপ্ত শিক্ষক নিয়োগ দিতে হবে এবং বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে বিষয়ভিত্তিক পর্যাপ্ত শিক্ষক থাকা বাধ্যতামূলক করতে হবে। সকল জেলা-উপজেলা পর্যায়ে স্বতন্ত্র ফিজিওথেরাপি বিভাগ ও জনবল নিয়োগ দিতে হবে এবং বাংলাদেশে ফিজিওথেরাপি শিক্ষার্থীদের জন্য সরকারি পর্যায়ে উচ্চশিক্ষার ব্যবস্থা করতে হবে। সূত্রঃ নয়া দিগন্ত

চাকরি তথ্য (গ্রীণ ল্যাব হসপিটাল)

Category: Medical/Pharma নার্স (ডিপ্লোমা মহিলা) Green Lab Hospital Vacancy:  02 Job Context:কুমিল্লার দাউদকান্দি – গৌরীপুর শহরে অবস্থিত গ্রীণ ল্যাব হসপিটাল এ উল্লেখিত পদে জরুরী ভিত্তিতে নিয়োগদানে জন্য দরখাস্ত আহবান করা যাচ্ছে। Job Responsibilities: • স্বাস্থসেবা সুবিধার ক্ষেত্রে চিকিৎসকের সহযোগিতা করা এবং রোগীদের দেখাশোনা করা। গুরুত্বপূর্ন ক্ষেত্রে পর্যাবেক্ষন করা, রোগীর পরীক্ষা করা ও মেডিকেল এর জরুরি বিষয়ে তত্বাবধায়ন করা। আঘাত প্রাপ্ত স্থানে ধুয়ে পরিষ্কার করা এবং এন্টিসেপ্টিক ডেসিং করা। ড্রেসিং পরিবর্তন এবং সেলাই কাটা ও ইমার্জেন্সী রোগীদের রেকর্ড আপডেট রাখা। জটিল অবস্থায় স্বাধীনভাবে কাজ করার যোগ্যতা থাকতে হবে। পরিচালক যেকোন সময় ভিন্ন ধরনের দায়িত্ব দিতে পারে। ম্যানেজমেন্ট এর নিকট ডাটা রির্পোট করা। Employment Status: Full-time Educational Requirements: • ডিপ্লোমা ইন নার্সিং সাইন্স এন্ড মিডওয়াইফারী। Additional Requirements: • অভিজ্ঞতা সম্পন্ন প্রার্থীদের অগ্রধিকার দেওয়া হবে। টিম মেম্বার হিসেবে কাজ করতে হবে। ভাল সৃষ্টিশীল, কৌশলগত, বিশ্লেষণাত্মক, সাংগঠনিক এবং ব্যাক্তিগত সেবাদানে দক্ষতা থাকতে হবে। অফিসের সকলের সাথে ভাল যোগাযোগ ও স্বাধীনভাবে কাজ করার দক্ষতা থাকতে হবে। Job Location: কুমিল্লা Salary: Negotiable Application Deadline : 13 Oct 2020

গ্রীণ ল্যাব হসপিটাল এ উল্লেখিত পদে জরুরী ভিত্তিতে নিয়োগদানে জন্য দরখাস্ত আহবান করা যাচ্ছে। Job Responsibilities: • স্বাস্থসেবা সুবিধার ক্ষেত্রে চিকিৎসকের সহযোগিতা করা এবং রোগীদের দেখাশোনা করা। গুরুত্বপূর্ন ক্ষেত্রে পর্যাবেক্ষন করা, রোগীর পরীক্ষা করা ও মেডিকেল এর জরুরি বিষয়ে তত্বাবধায়ন করা। আঘাত প্রাপ্ত স্থানে ধুয়ে পরিষ্কার করা এবং এন্টিসেপ্টিক ডেসিং করা। ড্রেসিং পরিবর্তন এবং সেলাই কাটা ও ইমার্জেন্সী রোগীদের রেকর্ড আপডেট রাখা। জটিল অবস্থায় স্বাধীনভাবে কাজ করার যোগ্যতা থাকতে হবে। পরিচালক যেকোন সময় ভিন্ন ধরনের দায়িত্ব দিতে পারে। Employment Status: Full-time Educational Requirements: • ডিপ্লোমা ইন নার্সিং সাইন্স Additional Requirements: • অভিজ্ঞতা সম্পন্ন প্রার্থীদের অগ্রধিকার দেওয়া হবে। টিম মেম্বার হিসেবে কাজ করতে হবে। ভাল সৃষ্টিশীল, কৌশলগত, বিশ্লেষণাত্মক, সাংগঠনিক এবং ব্যাক্তিগত সেবাদানে দক্ষতা থাকতে হবে। অফিসের সকলের সাথে ভাল যোগাযোগ ও স্বাধীনভাবে কাজ করার দক্ষতা থাকতে হবে। Job Location: কুমিল্লা Salary: Negotiable

Application Deadline : 13 Oct 2020

চাকরি তথ্য (সেন্ট্রাল মেডিকেল কলেজ, কুমিল্লা)

0
সহযোগী অধ্যাপক সেন্ট্রাল মেডিকেল কলেজ Vacancy:  Not specific Job Context: সহযোগী অধ্যাপক- মেডিসিন, শিশু, গাইনী, সার্জারী, সাইক্রিয়াট্রি, এ্যানেস্থেসিয়া, প্যাথলজী, ফরেনসিক Job Responsibilities: N/A Employment Status: Full-time Experience Requirements: • At least 3 year(s) Additional Requirements: • সহকারী অধ্যাপক/সমপদে ৩ বৎসরের অভিজ্ঞতা। ৩টি জার্নাল প্রকাশনা। Job Location: কুমিল্লা Apply Procedure: আগ্রহী প্রার্থীদেরকে ২ কপি পাসপোর্ট সাইজ ছবি, সকল শিক্ষাগত যোগ্যতার প্রমাণপত্র, জাতীয়তা সনদ, মোবাইল নম্বরসহ চেয়ারম্যান বরাবরে উল্লেখিত ঠিকানায় আগামী ০৫/১০/২০২০ইং তারিখের মধ্যে দরখাস্ত জমা দেয়ার জন্য অনুরোধ করা হল। পরীক্ষা ও সাক্ষাৎকারের তারিখ পরবর্তীতে জানিয়ে দেয়া হবে। বিঃ দ্রঃ যারা ইতি পূর্বে আবেদন করেছেন, তাদের নতুন করে আবেদন করার প্রয়োজন নেই। অধ্যাপক (ডাঃ) মোঃ সফিকুর রহমান পাটোয়ারী অধ্যক্ষ সেন্ট্রাল মেডিকেল কলেজ পদুয়ার বাজার, বিশ্বরোড, কুমিল্লা। মোবাইলঃ 01628-280478 E-mail: cemec05@yahoo.com centralmedicalcollege@gmail.com Application Deadline : 5 Oct 2020

চাকরি তথ্য (ইসলামী ব্যাংক নার্সিং কলেজ, রাজশাহী)

প্রিন্সিপাল ইসলামী ব্যাংক নার্সিং কলেজ, রাজশাহী Vacancy:  Not specific Job Context: ইসলামী ব্যাংক ফাউন্ডেশন পরিচালিত ইসলামী ব্যাংক নার্সিং কলেজ, রাজশাহীতে জনবল নিয়োগের লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট পদের যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা সম্পন্ন প্রকৃত বাংলাদেশী নাগরিকদের নিকট থেকে দরখাস্ত আহবান করা যাচ্ছে: Job Responsibilities: N/A Employment Status: Full-time Educational Requirements: • মাস্টার্স-ইন-নার্সিং/বিএসসি-ইন-নার্সিং অথবা নার্সিং সংশ্লিষ্ট বিষয়ে মাস্টার্সসহ ১০ (দশ) বছরের শিক্ষকতা পেশায় অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। এমপিএইচ ডিগ্রীধারীদের অগ্রাধিকার। অভিজ্ঞতাসম্পন্ন অবসর প্রাপ্তদের ক্ষেত্রে বয়স শিথিলযোগ্য। Additional Requirements: • Age at most 65 years • ১০ (দশ) বছরের শিক্ষকতা পেশায় অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। অভিজ্ঞতাসম্পন্ন অবসর প্রাপ্তদের ক্ষেত্রে বয়স শিথিলযোগ্য। Job Location: রাজশাহী Salary: Negotiable Apply Procedure: বাছাইকৃত প্রার্থীদের লিখিত পরীক্ষা/সাক্ষাৎকারের জন্য ডাকা হবে। www.ibfbd.org/career এ প্রবেশ করে সদ্য তোলা ছবি ও স্বাক্ষর স্ক্যান করে অনলাইনে আবেদন করতে হবে। প্রার্থীর বয়স আবেদনের শেষ তারিখ ৩০-০৯-২০২০ইং অনুযায়ী গণনা করা হবে। মহিলা প্রার্থীদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। প্রার্থীদের কোন পরীক্ষায় ৩য় বিভাগ/শ্রেণী/জিপিএ ২.০০ এর নীচে গ্রহনযোগ্য নয়। কর্তৃপক্ষ কারণ দর্শানো ব্যতিরেকে বিজ্ঞপ্তির যে কোন শর্ত বাতিল বা শিথিল করার ক্ষমতা সংরক্ষণ করেন। নিয়োগের ক্ষেত্রে কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত বলে বিবেচিত হবে। নির্বাহী পরিচালক Application Deadline : 30 Sep 2020