শীতে শ্বাসকষ্ট : অ্যাজমা না কি ব্রঙ্কাইটিস, কিভাবে চিনবেন?

শুকনো কাশি, শ্বাসকষ্ট, দমবন্ধ অনুভব, শ্বাসের সময় বুক থেকে সাঁই সাঁই করে আওয়াজ—লক্ষণগুলো অনেকটা একই রকম হলেও রোগের কারণ ভিন্ন হতে পারে। কিছু ক্ষেত্রে এটি অ্যাজমার লক্ষণ, আবার কিছু ক্ষেত্রে সাধারণ ব্রঙ্কাইটিসের। অ্যাজমা একটি জটিল ও দীর্ঘস্থায়ী রোগ, যেখানে শ্বাসনালির প্রদাহ ক্রনিক হয়ে যায়। অন্যদিকে ব্রঙ্কাইটিস মূলত সংক্রমণজনিত সমস্যা, যা সাধারণত ঠাণ্ডা লাগা বা ঋতু পরিবর্তনের সময়ে দেখা দেয়। তবে দুটিই অস্বস্তিকর এবং দ্রুত সুস্থ হওয়ার জন্য সঠিক রোগ নির্ণয় অত্যন্ত জরুরি।

অ্যাজমা বা ব্রঙ্কাইটিস—উভয় ক্ষেত্রেই শ্বাসযন্ত্র ও শ্বাসনালি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সাধারণত শ্বাসযন্ত্রের সমস্যা মানে শুকনো, দমফাটা কাশি, যা রাতে ঘুম বাধাগ্রস্ত করে এবং দৈনন্দিন কাজকর্মের সময় হাঁপিয়ে ওঠার কারণ হয়। শীতে এ ধরনের সমস্যা বেড়ে যায়।

অ্যাকিউট ব্রঙ্কাইটিস মূলত শ্বাসনালির প্রদাহজনিত রোগ। ধূমপায়ী বা সিওপিডি রোগীদের ক্ষেত্রে এটি আরো জটিল হতে পারে। অন্যদিকে অ্যাজমাও শ্বাসনালির প্রদাহ বাড়াতে পারে। ঠাণ্ডা লাগা, পরিবেশদূষণ বা অ্যালার্জিজনিত কারণে হাঁপানি দেখা দিতে পারে।

অ্যাজমার লক্ষণ :
১। সাধারণত ঠাণ্ডা আবহাওয়া বা অ্যালার্জেনের কারণে হয়।

২। রাতে ও ভোরে শুকনো কাশির দাপট বৃদ্ধি পায়।

৩। শ্বাসের সময় সাঁই সাঁই শব্দ শোনা যায়।

৪। হঠাৎ দমবন্ধ হওয়া, শ্বাস নিতে কষ্ট।

৫। হাতে ইনহেলার থাকলে সমস্যা দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আনা যায়।

ব্রঙ্কাইটিসের লক্ষণ :

১। ফুসফুসের ব্রঙ্কিয়াল টিউবের প্রদাহজনিত সমস্যা।

২। প্রাথমিকভাবে শুকনো কাশি।

৩। শুরুতে জ্বর, গা, হাত-পা ব্যথা, দুর্বলতা ও ক্লান্তি দেখা দিতে পারে।

৪। সাধারণত এক থেকে তিন সপ্তাহের মধ্যে উপশম হয়।

৫। অ্যাজমার সঙ্গে প্রধান তফাত : ব্রঙ্কাইটিস সাধারণত ঠাণ্ডা লাগা দিয়ে শুরু হয়, এরপর গলা ব্যথা, নাক দিয়ে সর্দি পড়া এবং পরে শুকনো কাশি দেখা দেয়।

শ্বাসকষ্ট, কাশি বা দমবন্ধের লক্ষণ দেখা দিলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়াই সবচেয়ে নিরাপদ।

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *